আমাদের চোখের নিচের কালো দাগ চোখের সৌন্দর্য কমিয়ে দেয়। ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগ মেয়েদের খুব সাধারণ একটা সমস্যা এবং চোখের নিচে কালো দাগ নিয়ে যেমন অস্বস্তি দেখা দেয়। এবং কাজের চাপে ক্লান্তি বেড়ে গেছে, নিয়মিত ঘুমও হচ্ছে নাএতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। যদি এই কালো দাগ ঠেকাতে দরকারি পদক্ষেপ না করা হয়, তা হলে এই দাগ ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। চোখের নিচের কালো দাগ এবং চোখের ফোলা ভাব ঘরোয়াভাবে কীভাবে দূর করা যায় তার কিছু উপায়-
শসা
সজীব শসা স্লাইস করে কেটে আধা ঘন্টা ফ্রিজের ভিতরে রাখুন তারপরে আপনি ফ্রিজ থেকে বের করে আপনার চোখের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার মুখটি পরিষ্কার করে নিন। এইভাবে প্রতিদিন আপনি ঘুমানোর আগে শসা স্লাইস করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চোখের উপরে রাখবেন এবং ঘুমানোর আগে মুখটা পরিষ্কার করে তারপর ঘুমাতে যাবেন এভাবে আপনি কন্টিনিউ করতে থাকবেন এক সপ্তাহ তাহলে দেখবেন আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। শসা ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য খুবই উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ডাক্তার সার্কেলের জন্য।
আলু
কাঁচা আলু আপনি ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পিষে ফেসপ্যাক এর মত মলিন করে ফেলুন। এরপর আপনি আলুর করা ফেসপ্যাক টি চোখের নিচের কালো দাগের উপরে সুন্দর করে লাগিয়ে দিন এবং শুকিয়ে গেলে সেটা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলুর ফেসপ্যাকটি যদি আপনার সমস্যা মনে হয় তাহলে আপনি শসার মতো করে সাইজ করে কেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। আপনি এই প্যাকটি প্রতিরাত ঘুমানোর আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন এবং শুকিয়ে গেলে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন তা না এক সপ্তাহ এভাবে ব্যবহার করবেন দেখবেন আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
টমেটো
টমেটো প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন রয়েছে টমেটো কার্ডিওভাসকুলার, চোখ এবং ত্বকের জন্য উপকারী। আপনি টমেটো কে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পিষে তার রস বের করে ওই রসে কটন প্যাড ভিজিয়ে রেখে সেটা পরে আপনার স্কিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। কটন পেটটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার মুখটি পরিষ্কার করে নিন এইভাবে আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কটটি দিয়ে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে পারবেন । কন্টিনিউ এভাবে এক সপ্তাহ আপনি ব্যবহার করে যাবেন এতে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
গোলাপজল
প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা বা আই প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এবার আপনার গোলাপজলে যদি আইপ্যাডটি ভিজে যায় তাহলে আপনি আপনার চোখের নিচের কালো দাগের উপরে লাগাবেন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিবেন এইভাবে আপনি টানা ছয় থেকে সাত দিন যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
টি-ব্যাগ
টি ব্যাগ উভয়েই চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং চা পাতায় অ্যান্টি-ইরিট্যান্ট উপাদান আছে যা চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। টি ব্যাগ আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার জন্য অন্তত কার্যকরী আপনি দুইটি ব্যাগ আপনার ফ্রিজে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন যাতে ঠান্ডা হয় এরপর আপনি সেই থেকে বের করে আপনার চোখের নিচে কালো দাগের উপরে রেখে দেন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট এরপর আপনি আপনার মুখটি পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন এবং দেখবেন যে আপনার চোখের নিচে কালো দাগটি অনেকটাই কমে গেছে।
মধু
আপনি যদি আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই মধু ব্যবহার করবেন কারন মধুর অনেক গুনাগুন রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার স্কিনের সকল ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন তাই আপনার যদি চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই মধু ব্যবহার করবেন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হালকা করে মধু লাগিয়ে রাখবেন এবং ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পরে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলবেন অথবা প্রতিদিন গোসলের এক থেকে দুই ঘন্টা আগে মধু লাগিয়ে রাখুন তারপর গোসলের সময় পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন তাহলে দেখবেন আপনার চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ডার্ক সার্কেল দূর করার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তাহলে আপনার ডার্ক সার্কেল যাবে না তাই বিশেষ করে আপনাকে ঘুমানোর দিকে নজর রাখতে হবে। আপনি প্রতিদিন রাত দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঘুমানোর অভ্যাস করবেন এবং পারলে দিনের বেলা দুই থেকে তিন ঘন্টা নিবেন ঘুমাবেন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ ঠিক হয়ে গেছে।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি বগলের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।