মুখের কালো দাগ দূর করার ৭টি ঘরোয়া উপায়

ধুলো ময়লা, প্রখর রোদ ও দূষণের কারণে মুখের ত্বকে দেখা দেয় পিগমেন্টেশন সমস্যা দেখা দেয়।  রোদে পুড়ে, ব্রণ থেকে, বয়সের কারণে মুখে দাগ হতে পারেআমরা অনেকেই আছি এই কালো দাগ দূর করার জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে এটা সম্পূর্ণ একটি  ভুল পদ্ধতি। কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাগগুলো দূর করা যেতে পারে। যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কালো ত্বক ফর্সা করার উপায় আলোচনা করা হলো-

আলুর রস

আলুতে থাকে ক্যাটেকোলেজ নামক একধরনের উপাদান, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং রোদে পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে। আলু খুব ভালো করে ধুয়ে ছেঁচে রস বের করে নিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যে জায়গায় কালো দাগ রয়েছে, তার উপর আলুর রস লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই তিনটি উপায়ের যে কোনো একটি সপ্তাহে পরপর তিন দিন করে দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন এটা ত্বকে কাজ করছে কিনা।

লেবুর রস

লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাজা লেবুর রস পুরো মুখেও লাগাতে পারেন আবার যেখানে দাগ হয়েছে সেখানেও দিতে পারেন। প্যাকের সঙ্গে একটু করে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করে দেখুন। লেবুর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মুখের দাগ দ্রুত দূর করতে প্রতিদিন লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল

অ্যালো ফেরা জেলও দাগ-ছোপ তাড়াতে খুব কার্যকর। প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ত্বকে দিলে তা দাগ কমাতে পারে সেই সাথে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।  এ ক্ষেত্রে ব্রণ কিংবা পিম্পল সেরে যাওয়ার পর যে কালো দাগ রয়ে গেছে সেখানে সামান্য অ্যালোভেরা জেল লাগাতে হবে।  এটি বৈজ্ঞানিকভাবে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল সারা রাত লাগিয়ে রাখুন। 

টমেটোর রস

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আরেকটি ফল টমেটো যা ত্বকের দাগ দূর করতে দারুণ কাজ করে। ত্বক ফর্সা করতে টম্যাটো দারুন কার্যকরী কিন্তু সবার ত্বকে আবার সহ্য হয় না। এছাড়াও, টমেটোতে লাইকোপেন থাকে, যা মুখের দাগ দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালো ভেরা জেল, চিনি আর লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে লাগিয়ে নিন ত্বকে।  টমেটোর প্রাকৃতিক অ্যাসিরিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো খোলা পোরস সঙ্কুচিত করতেও সহায়তা করে।

হলুদ

প্রাচীনকাল ধরে, হলুদ পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করছে। টেট্রাহাইড্রোকারকিউমিন হলো হলুদের একটি নির্যাস যা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন এবং হলুদ উভয়েরই ত্বক উজ্জ্বল করার ক্ষমতা রয়েছে। এই দুটি উপাদান প্রথমে দুধে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মধু

ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী কারণ মধুতে রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ যে আপনার স্কিনকে অনেক সুন্দর করে তোলে এবং আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এ জন্য প্রথমে কফি পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর মুখে লাগিয়ে ঘষতে হবে আলতো হাতে। ২০-২৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার মুখের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

চন্দন

অধিকাংশ সময় ব্রণ চলে গেলেও তার দাগ থেকে যায় সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে দাগ স্থায়ী হয়ে যেতে পরে। কালো দাগের জন্য চন্দন অনেক কার্যকরী একটি উপাদান যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিনের কালো দাগ দূর করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়া কিছুটা গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে। মুখের ত্বকে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। চন্দন দেয়ার কারণে আপনার স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সর্দি কাশি থেকে মুক্তির উপায়  জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

Leave a Comment