শীত চলে এসেছে আমাদের দেশে এবং বাতাসের আদ্রতা ও কমে গেছে আর বাতাসের আদ্রতা কমার কারণে আমাদের ঠোঁট ফাটা শুরু হয়ে গেছে তাই আমাদের সর্বপ্রথম এই শীতে আমাদের ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। শীতে ত্বকের চেয়েও বেশি রুক্ষ হয়ে ওঠে ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট শুধু প্রাণবন্ত হাসির অন্তরায়। আমরা আমাদের ঠোঁট ফাটা রোদে করার জন্য আমরা চ্যাপ স্টিক ব্যবহার করে থাকি। শুধু তাই নয়, শরীরে পানির ঘাটতি পড়লেও ঠোঁট ফাটে। শীতকালের এই শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার বহু উপায় বাড়িতেই রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো কী কী-
নারিকেল তেল
ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচতে হলে নারিকেল তেল উপাদানবিশিষ্ট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। নারিকেল তেল প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে । শীতকালে আদ্রতার কারণে ঠোঁট ফাটে আর এতে নারিকেলের তেল অনেক কার্যকরী তাই আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন। নারিকেল তেল এর মধ্যে টিট্রি অয়েল বা গ্রাপিসড অয়েল যোগ করে নেওয়া যায় যা ফাটা ঠোঁটের জন্য উপকার করবে।
দুধ
ঠোঁট ফাটা রোদে দুধ সবচাইতে বেশি কার্যকর দুধের মাধ্যমে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার ঠোঁটকে সুস্থ সবল ও সৌন্দর্য ভাবে রাখতে পারব। প্রতিদিন ঠোঁটে দুধ ব্যবহার করুন ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পদ্ধতিতে ঠোঁটের যত্ন নিলে ঠোঁট নরম ও উজ্জ্বল হবে। তাছাড়াও আপনি নারিকেল দুধ আর গোলাপজল মিশিয়ে লিপ ক্লিনজার বানিয়ে নিন। মিল্ক ক্রিম বা দুধের সর লাগালেও খুব সহজে ঠোঁট ফাটা সেরে যায় ।
মধু
মধু ত্বক ও ঠোঁটের ঠোঁটের জন্য খুবই কার্যকরী মধু আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করবে। মধুতে রয়েছে যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াজাত পদার্থ আপনার ভেসলিন ও পেট্রোলিয়াম এর চাইতে অনেক বেশি কার্যকরী আপনার ঠোঁটের জন্য নরম ও সুন্দর লাগবে যদি আপনি মধু ব্যবহার করেন। প্রথমে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে নিন। একটা পাতলা স্তর বা আস্তরণ তৈরি হবে। তার উপর দিয়ে ভেসলিনের একটা স্তর তৈরি করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই দুই উপাদান ফাটা ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে। এই একটি প্র্যাকটি আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং ঠোঁট ফাটা রোদে অনেক উপকারী।
শসা
শসা শুধু আপনার স্কিনের জন্য ভালো তা নয় এটি আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও লাবণ্যময় করতে অনেক সাহায্য করে। ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় শসা ভালো প্রাকৃতিক ওষুধ ঠোঁটকে নরম এবং কোমল করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এক টুকরো শশা নিয়ে ভালো করে তা ঠোঁটের ওপর হাল্কা করে ঘষুন । ১৫ থেকে ২০ মিনিট শশার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন । প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই দূর হবে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা।
লেবু
লেবুর রসের মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং ঠোঁট দেখতে গোলাপি রং বের হয়ে যাবে এবং আপনার ঠোঁট অনেক নরম হবে। এছাড়াও কালো ছোপ ও মিটে যাবে এক চা চামচ দুধের সর ও তিন ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিন । ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে আপনি ফ্রিজ থেকে বের করে আপনার ঠোঁটে লাগান দেখবেন আপনার ঠোঁট অনেক সুন্দর হয়ে গেছে এবং ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে গেছে।
অ্যালোভেরা
প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে এলোভেরা জেল আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তুলতে অনেক কার্যকর। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি সর্বপ্রথম একটি অ্যালোভেরার ছেলের পাতা নিয়ে সেটা থেকে অ্যালোভেরা বের করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন এরপর রাতে ঘুমানোর আগে সেটি আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালবেলা ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ঠোঁট ফাটা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে গেছেন এবং আপনার ঠোঁট অনেক লাবণ্যময় হয়ে গেছে।
গ্রিন টি
আমরা অনেকেই জানেন না গ্রিন টি ব্যাগ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করে । গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। একটি গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের ফাটা রোধে অনেক কার্য করি। একটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ নিন এবং ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন এইভাবে চার মিনিট রেখে দিন । ১০-১৫ মিনিট পরে আপনি আপনার মুখটি পরিষ্কার পানিতে পরিষ্কার করে নিন এরপর দেখবেন আপনার ফটো অনেকটাই কমে গেছে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও গ্রিন টি ব্যাগ অত্যন্ত উপকারী।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।