চুলকানি সমস্যা আমাদের প্রায় জোনার ভিতরে রয়েছে আমরা সবাই এই চুলকানির হাত থেকে রেহাই পেতে চাই কারণ চুলকানি এমন একটা সমস্যা যেটার কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় আর চুলকানি হচ্ছে একটি ছত্রাক জাতীয় রোগ এটি শরীরের যে কোন জায়গায় ইনফেকশন করে ফেলতে পারে আর চুলকানি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। চুলকানি সাধারণত এলার্জির কারণে হয়ে থাকে আমরা শরীরে বিভিন্ন দেখা দিলে সেখান থেকে চুলকানি হয়ে থাকে। আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে আর এটাকেই বলে এলার্জি। যদি আপনার এলার্জির হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের সম্পূর্ণ হওয়া ভালো তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে তার মাধ্যমে আপনি চুলকানি ভালো করতে পারবেন যার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
নিম পাতা
নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন গোসলের সময় গরম পানি করে তাতে নিম পাতা দিয়ে পানিতে হাল কৌশল পানিতে যদি আপনি গোসল করেন তাহলে আপনার চুলকানি অনেকখানি কমে যাবে। অথবা নিম পাতা পিষে তা আপনার চুলকানি স্থানে যদি লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষন ১৫ থেকে ২০ মিনিট তারপর আবার ধুয়ে ফেলে দিন তাহলে আপনার চুলকানি অনেকখানি কমে যাবে এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়ে যাবে আর চুলকানির সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণেই হয় তাই আপনি চুলকানি ভালো করতে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুলকানি অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে।
নারিকেলের তেল
চুলকানি জায়গায় যদি আপনি নারকেল তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুলকানি অনেকখানি কমে যাবে তবে জানতে হবে কিভাবে আপনি সেটি ব্যবহার করবেন। প্রথমে আপনাকে চুলকানির জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং তারপরে দুই চা চামচ নারকেলের তেল আর একটুখানি কর্পূর মিশাতে হবে এরপর আপনার যে জায়গাতে চুলকাচ্ছে সেই জায়গাতে মালিশ আকারে দিয়ে রাখতে হবে এবং পুরাটা মাখিয়ে নিতে হবে এরপর যখন চুলকানি কমে যাবে তোয়ালে বানানোর কাপড় দেশ সম্পূর্ণ মুছে দিতে হবে না হলে আপনার শরীর বা কাপড় গুলো আবার ময়লা হয়ে যাবে এক্ষেত্রে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা আবার বেড়ে যাবে তাই আপনি অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সেটা পরিষ্কার করে নিবেন যখন চুলকানি কমে যাবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ ও প্রদাহ সারায়। এলাকার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো এবং ত্বকের জন্য অনেক উপকারী অ্যালোভের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের চুলকানি মুক্ত করতে পারেন তবে অ্যালোভেরার ব্যবহার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা রয়েছে সেগুলোর অবলম্বন করতে হবে সর্বপ্রথম আপনাকে এলোভেরার পাতা কেটে সেখান থেকে এলোভেরা খেয়ে আলাদা করতে হবে করে তা আপনার যেখানে চুলকাচ্ছে সেখানে অ্যালোভেরা লাগিয়ে রাখতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তারপর দেখবেন আপনার চুলকানি ভালো হয়ে গেছে।
লবণ
চুলকানি ভালো করার ক্ষেত্রে লবণ আরেক কার্যকরী যেমন আপনার যখন অতিরিক্ত চুলকাবে তখন যদি আপনি লবণ ব্যবহার করেন চুলকানি আপনার অনেকটাই কমে যাবে পরে আর চুলকাবে না সাধারণত ব্যবহারের নিয়ম প্রথমে আপনাকে যে জায়গায় চুলকাচ্ছে সেখানে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে তারপরে শুকনো লবণ দিয়ে আপনার যে জায়গাতে চুলকাচ্ছে সেই জায়গাতে মানুষের মতো করে করতে হবে তারপর কিছুক্ষণ পরে পাঁচ থেকে সাত মিনিট পরে পুরাটা পরিষ্কার করে ফেলে দিতে হবে লবণগুলো তারপর দেখবেন আপনার চুলকানি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন শেষ হয়ে গেছে।
গরম পানি
চুলকানি ক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে গোসল করা অনেক কার্য করে একটু উপায় আপনার যদি চুলকানি হয়ে থাকে তারপরে আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল অবশ্যই করবেন তবে সেটি উষ্ণ গরম বেশি গরম না যাতে আপনার ত্বকের ক্ষতি না হয় তাই খেয়াল রাখবেন আপনার পানি যাতে বেশি গরম না হয়। তবে একটু উষ্ণ পানিতে সবসময় গোসল করার চেষ্টা করবেন এতে করে দেখবেন চুলকানি আপনার অনেকখানি কমে গেছে আর গোসলে পরে অবশ্যই তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে সব সময় গা পরিষ্কার করবেন তা মুছবেন এতে দেখবেন আপনার চুলকানি ভালো হয়ে গেছে।
আপেল সিডার
আপেল সিডার আপনার ত্বকের জন্য অনেক ভালো এবং এটি স্কিনের চুলকানি ভালো করতে অনেক সাহায্য করেন আরেকটি অনেক কার্য করেও তাই আপনি আপেল সিডার ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে আপনি দুই চামচ আপেল সিডার নেবেন তারপর কিছু জল নিবেন এরপর সেটি পেস্ট আকারে তৈরি করুন তারপরে আপনার যে জায়গাতে চুলকাচ্ছে সে জায়গাতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন একটু পর দেখবেন আপনার চুলকানি অনেকটাই ভালো হয়ে গেছে।
ভিটামিন ডি
কিছু মানুষ রয়েছে যাদের শীতকালে দাপা চুলকায় হাত পা চুলকায় সে ক্ষেত্রে এমনও সমস্যা হতে পারে যে তার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে কারণ ডি এর অভাবে অনেক সময় হাত পা চুলকায় তাই আপনি যদি আপনার শীতে হাত-পা চুলকায় তাহলে আপনি ডাক্তারের সম্পূর্ণ হবেন বা ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাবেন যার মাধ্যমে আপনার চুলকানি আর থাকবে না তবে এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেয় ভালো।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে চুলকানি থেকে মুক্তির উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।