কিসমিস হল আমাদের সকলেরই প্রিয় একটি খাবার কম বেশি সব বয়সেরই মানুষ কিসমিস পছন্দ করে থাকে কারণ এটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং খেতে অনেক সুস্বাদু অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তবে কিসমিস খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে যার মাধ্যমে খেলে আপনি তার গুণগত মান ও পুষ্টিগুণ সবকিছু সম্পন্ন পরিমাণে আপনি পাবেন। তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাবেন-
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস এমন একটি খবর যেটি আমরা সবাই পছন্দ করে থাকি তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে এই কিসমিস কিভাবে খেলে আমরা এর উপকারিতা গুলো পাব আমরা কিসমিস সাধারণত আমরা রাতে ঘুমানোর আগে অথবা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খেয়ে থাকি তবে এই দুইটির মধ্যে সঠিক সময় কোনটি এটি আমরা জানিনা রাতে ঘুমানোর আগে খাব না সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খাবো এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে একটি বিভেদ সৃষ্টি হয়।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম: আমরা অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেয়ে থাকি তবে জানি না রাতে ঘুমানোর কতক্ষণ আগে আমরা কিসমিস খাব আর কিছু নিচে উপকারগুলো পাব বেশিরভাগ সময় আমরা ভুল করে থাকি যে রাতে খাবার পরপরই কিসমিস খেয়ে থাকি এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি যাতে আপনার ক্ষতি পরিমান বেশি হয়ে থাকে উপকারের চাইতে । কিসমিস খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো আপনি সন্ধ্যার দিকে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন তারপরে ঘুমানোর 5 থেকে 10 মিনিট আগে আপনি সেই কিসমিস টি খাবেন অথবা বাসায় যদি মধু থেকে থাকে মধুর সাথে কিসমিস গুলো মধুর সাথে মিশিয়ে একসাথে খেয়ে ফেলবেন রাতে ঘুমানোর ৫ থেকে ১০ মিনিট আগে কিসমিস খাবেন। আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার নিয়ম
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম: আপনারা যারা সকালে কিসমিস খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আমি কিছু টিপস দিব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন আমরা অনেকেই জানেন না সকালে কিভাবে আমরা কিসমিস খাবো। সর্বপ্রথম আপনাকে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস গুলো ভিজিয়ে রাখবেন তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিস গুলো খাবেন যে পানিতে কিসমিস গুলো ছিল সেই পানিটুকু আপনি খেয়ে ফেলবেন কিসমিস খাওয়ার পরে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে আপনি সকালের নাস্তা করবেন তাহলে আপনার কিসমিস এর সকল উপকারিতা গুলো আপনি পাবেন।
কিসমিসের উপকারিতা
কিসমিসের পুষ্টি উপাদান ও গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না কিসমিসে আছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে। রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাবার কারণে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কিসমিস রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণ হতে রোধ করে যা আমাদের ইমিউন সিস্টেম গঠন করে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: প্রতিদিন কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।। তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান।
হজমশক্তি বাড়ায়: কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে: কিসমিসে থাকা পুষ্টিগুন যৌন দূর্বলতা বা যৌন অক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খান তাহলে দেখবেন যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিসমিস রাতে ঘুমানো আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে সেটা খান এতে বেশি উপকার পাবেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: কিসমিস রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আর যখন রক্ত চলাচল ব্যালেন্স থাকে তখন যৌন সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তাই নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন। রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
কিসমিসের অপকারিতা
কিসমিতের যেমন উপকারিতা আছে তেমন আছে কিছু অপকারিতা। আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই আমাদের সমস্যা হবে। তবে স্বাভাবিক ভাবে দেখতে গেলে কিসমিসের তেমন কোন অপকারিতা নেই যদি নিয়ম মেনে কিসমিস খাওয়া হয়। তারপরেও জেনে নেই কিসমিসের অপকারিতা। অতিরিক্ত কিসমিস খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে, এলার্জি হতে পারে, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি বাড়তে পারে।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে….
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।