রিবারের সাথে সন্ধ্যায় কতটা উত্তেজনাকর হয়, তাহলে দাবা খেলতে চেষ্টা করুন। এই বুদ্ধিজীবী পুরানো খেলা মাস্টার করার জন্য, এটি একটি উচ্চ IQ আছে প্রয়োজন হয় না। এটি দাবা খেলা খেলার মৌলিক নিয়ম শিখতে গুরুত্বপূর্ণ – এবং সামান্য প্রচেষ্টার সঙ্গে, আপনি শীঘ্রই অভিজ্ঞ প্লেয়ার চেয়ে খারাপ কোন নতুন সমন্বয় সঙ্গে আসা পর্যন্ত করতে পারেন।
দাবা খেলার ইতিহাস
দাবার ইতিহাস প্রায় ১৫০০ বছরের পুরনো। ষষ্ঠ শতাব্দীর আগেই ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কালে এ খেলাটির উৎপত্তি হয়। ভারত থেকে এ খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে ইরানে। আরবরা ইরান দখল করলে খেলাটির সঙ্গে পরিচিত হয়। এরপর মুসলিমদের হাত ধরেই দাবা খেলা চলে আসে দক্ষিণ ইউরোপে। এরপর ইউরোপ থেকেই প্রাচীন দাবা মূলত আজকের দাবায় রূপ নেয়।
আমাদের কাছে যেটা ‘চেকমেট’ নামে পরিচিত সেটা তখন পরিচিতি লাভ করে ‘শাহ মাত’ নামে। অনেক স্থানে যোদ্ধাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দাবা খেলার প্রচলন ছিল। মূলত ১২০০ থেকে ১৪৭৫ সালের মধ্যবর্তী সময়েই দাবার নিয়ম-কানুনে মূল পরিবর্তন আসে। ভারতের সঙ্গে প্রাচীনকালে পারস্যের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল বেশ ভালো। পারস্যের বণিকরা ভারতে এই মজার খেলা খেলতে দেখেছিল। তাদের কাছেও খেলাটা ভালো লেগে যায়। এসব বণিকদের হাত ধরে চতুরঙ্গ একসময় পারস্যে চলে যায়। সেখানে এর নতুন নাম হয় ‘শতরঞ্জ’। সেটা খ্রিস্টীয় ৬০০ সালের দিকের ঘটনা। এখানে দাবা খেলার নিয়ম কানুন আরও উন্নত হয়। প্রায় একই সময় ভারত থেকে খেলাটা চীন দেশে যাত্রা করে।
দাবা খেলার জন্য নিয়ম
সাধারণত দাবা হচ্ছে ভালো মানুষদের খেলা। আপনার মাথায় যদি দুষ্ট বুদ্ধি থাকে বা আপনার মন যদি অশান্ত থাকে তাহলে আপনি দাবাড়ু হতে পারবেন না। অর্থাৎ দাবায় ভালো করতে হলে সবার আগে দরকার একটি প্রশান্ত আত্মা। দাবা খেলার প্রথম সূত্রটা হচ্ছে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। দাবা এমন একটি খেলা যার জন্মের ইতিহাসের সাথে আমাদের এই বঙ্গ দেশের নাম জড়িয়ে আছে। দাবার আদি নাম হচ্ছে চতুরঙ্গ। যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ঘোড়া। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদে চতুরঙ্গ নামক খেলার উল্লেখ পাওয়া যায়।
খেলা শুরু করার আগে শুধুমাত্র খেলা নিয়ম শিখতে এবং দাবা খেলা কিভাবে বুঝতে, কিন্তু সঠিকভাবে বোর্ড স্থাপন না। এটি করা হয় যাতে ডান দিকে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর একটি সাদা রংয়ের কোণার ক্ষেত্র থাকে। দুটি খেলোয়াড় রয়েছে: এক সাদা রঙের চিত্র এবং দ্বিতীয়টি – অন্ধকার (কালো) রঙের পরিসংখ্যান। সমস্ত পরিসংখ্যান তাদের নিজস্ব অনন্য নাম আছে: রাজা, রাণী (রানী), হাতি (কর্মকর্তা), হস (ট্যুর), ঘোড়া এবং pawns। এই খেলাটিতে একজন রাজা (ক্র্যাক) এবং রাণী (এফ), দুই নাটক (কে), দুটি হুক্কা (এল), দুটি হাতি (সি) এবং আটটি পাবনা (এন) উভয় পার্শ্বের 16 জন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
দাবা মূলত রাজার খেলা বা রাজায় রাজায় যুদ্ধের খেলা। এ খেলা হয়ে থাকে দুই দলের রাজার মধ্যে। এক রাজাকে কিস্তি দেওয়া বা আক্রমণ করাই অন্য রাজার উদ্দেশ্য। অনেক স্থানে এ খেলাকে কিস্তিমাত খেলাও বলা হয়। যে কোনও উপায়ে রাজাকে বন্দি করাই হলো দাবা খেলার মূল লক্ষ্য। খেলতে খেলতে যে দলের রাজা কিস্তির ফাঁদে আটকা পড়ে বা বন্দি হয়ে যায় সেই রাজার দল পরাজিত হয়।
দাবা খেলার নিয়ম বা গুটি চালার নিয়ম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাবা খেলার নিয়ম-কানুনে যেমন এসেছে পরিবর্তন, তেমনি এসেছে এর নামেও। ভারতে খেলাটি যখন উৎপত্তি লাভ করে তখন এর নাম ছিল ‘চতুরঙ্গ’। ইরানে দাবা পরিচিতি পায় ‘শতরঞ্জ’ নামে। দাবা খেলোয়াড়দের তারা বলতে শুরু করে ‘শাহ’।
১. রাজা (King) যে কোন দিকে (সোজা অথবা কোণাকুণি) এক ঘর যেতে পারে।
২. মন্ত্রী (Queen) যে কোন দিকে (সোজা অথবা কোণাকুণি) যত ঘর ইচ্ছা যেতে পারে।
৩. হাতি (Bishop) শুধুমাত্র কোণাকুণি যত ঘর ইচ্ছা যেতে পারে।
৪. নৌকা (Rook) শুধুমাত্র সোজা যত ঘর ইচ্ছা যেতে পারে।
৫. ঘোড়া (Knight) ইংরেজি L অক্ষরের মত যে কোন দিকে প্রথমে সোজা দুই ঘর এবং পরে যেকোন একদিকে এক ঘর যেতে পারে। ভারতীয় দাবায় যাকে আড়াই ঘর বলা হয়।
৬. বড়ে (Pawn) প্রথম চালে এক ঘর অথবা দুই ঘর যেতে পারে এবং পরবর্তী চালগুলোতে একঘর করে যেতে পারে। তবে গুটি কাটার সময় কোণাকুণি একঘর চলে।
৭. কোন ঘুটি এমন কোন ঘরে যেতে পারবে না যেখানে আগে থেকে নিজের রঙের অন্য কোন ঘুটি অবস্থান করছে।
৮. ঘোড়া ব্যাতীত অন্য কোন ঘুটি যে ঘরগুলো অতিক্রম করবে সেই ঘরগুলো ফাঁকা থাকতে হবে। মধ্যবর্তী ঘরে কোন ঘুটি থাকলে তাকে টপকে যেতে পারবে না। তবে ঘোড়া এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম। ঘোড়া নিজের কিংবা প্রতিপক্ষের যে কোন ঘুটিকে টপকে যেতে পারবে।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে দাবা খেলার নিয়ম জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে ……
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের দেশের সকলের এই নাগরিক অধিকার রয়েছে এবং এদেশের প্রতি বিশেষ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আর প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রয়োজন হয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ চাকুরী ব্যবসা বা সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রয়োজন হয় আমি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব।