নামাজ পড়ার নিয়ম ও পদ্ধতি আছে। কেউ যদি এই নিয়ম অনুসরণ না করে, তাহলে তার নামাজই হবে না। আবার কেউ হয়তো নামাজ পড়ার জন্য সব নিয়ম অনুসরণ করে নামাজ আদায় করল, কিন্তু নামাজের মধ্যে এমন কিছু ঘটাল যার কারণে তার নামাজ ভেঙে যাবে। তাই নামাজ ভঙ্গ হওয়ার কারণগুলো কী কী সেই বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে। নামাজ ভঙ্গ হওয়ার মোট কারণ হচ্ছে ১৯টি। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
১.নামাজে অশুদ্ধ পড়া; নামাজে কেরাত পড়ার সময় অর্থাৎ কোরআন শরীফ তেলাওয়াত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায় তাহলে নামাজ হবেনা।
২. নামাজের মদ্ধে কথা বলা ; নামাজের মদ্ধে উদ্দেশ্য অর্থবোধক এমন কোন শব্দকরা যা সাধারন কথার সামিল হয়ে যায়। হোক সেই কথা ছোট অথবা বড় কিংবা এক অক্ষরের। এর কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৩. কোনো লোককে সালাম দেওয়া; নামাজরত অবস্থায় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না সালাম দিলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৪. সালামের জবাব নিলে ; নামাজের সময় নামাজরত অবস্তাতে কারো সালামের জবাব নিলে সালাত ভেঙে যাবে। তাই নামাজরত অবস্থায় সালামের জবাব নেয়া যাবে না।
৫. উহ্-আহ্ শব্দ করা; নামাজরত অবস্থায় কোনো ব্যথা কিংবা দুঃখের কারণে উহ্-আহ্ শব্দ করলে নামাজ ভেঙে যাবে।
৬. নামাজের মধ্যে কাশি দেওয়া ; অযথা কোনো কারণ ছাড়া নামাজরত অবস্থায় কাশি দিলে নামাজ ভেঙে যাবে।
৭. আমলে কাসির করলে; বিভিন্ন আলেমগণ আমলে কাসীর সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন কিন্তু তার মধ্যে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, কোনো নামাজরত বেক্তি এমন কোনো কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া যাতে করে তাকে বোজা যায়না
৮. বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা; দুনিয়ার কোন বিপদ আপদের কথা স্মরণ করে শব্দ করে কাঁদলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে
৯. তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলিয়া থাকা; নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় সুবহানাল্লাহ তিন বার পড়তে যে সময় লাগে তত টুকু সময় সতর খোলা থাকে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১০. মুক্তাদি ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা লওয়া; যেমন—ইমাম সাহেব কিরাতে ভুল করছেন, সঙ্গে সঙ্গে নামাজের বাইরের কোনো লোক লোকমা দিলে তা গ্রহণ করা।
১১. সুসংবাদ বা দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়া; সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া দুনিয়াবি কথার শামিল, তাই এর দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়।
১২. নাপাক জায়গায় সেজদা করা; নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া জরুরি। অর্থাৎ নামাজ পড়ার সময় নামাজি ব্যক্তির শরীর যেসব জায়গা স্পর্শ করে, সে জায়গাগুলো পবিত্র হওয়া, যা নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত। তাই নাপাক বা অপবিত্র জায়গায় সেজদা করলে নামাজ ভেঙে যাবে।
১৩. কিবলার দিক হইতে সিনা ঘুরে যাওয়াদ; যদি কোন কারনে কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যায়
১৪. নামাজরত অবস্থায় কুরআন শরীফ দেখে পড়লে; নামাজরত অবস্থায় কুরআন শরীফ দেখে পড়িলে নামাজ ভেঙে যায় তবে সৈদি আরবের আলেমদের মতে এই মাসালার ভিন্নতা রয়েছে। তাই নামাজরত অবস্থায় কোরান শরীফ দেখে না পড়া ভালো।
১৫. নামাজে শব্দ করে হাসা; নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে ওজুসহ ভেঙে যায়।
১৬. নামাজে দুনিয়াবি কোনো কিছু প্রার্থনা করা; নামাজ রত অবস্থায় আল্লাহতালার কাছে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করলে
১৭. হাসির জবাব দিলে. নামাজরত অবস্থায় কেউ যদি হাসির জবাব নেয় তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
১৮. নামাজে খাওয়া ও পান করা; নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যায়। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে।
১৯. ইমামের আগে মুক্তাদির পা সামনে চলে গেলে বা দাঁড়ালে; ইমাম নামাজ যখন পড়ায় তখন মুকদাদির পায়ের গোড়ালি ইমামের সামনে চোলে গেলে নামাজ ভেঙে যাবে।
আশা করি নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যদি আমাদের অজান্তে কোন ভুল হয়ে থাকে। তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে সংশোধনের জন্য জানাবেন চির কৃতজ্ঞ থাকব। আপনি ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা ইসলামিক স্কলারের মতামত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চান বা হাদিস সংক্রান্ত অথবা নামাজের ওয়াক্ত নিয়ত অথবা দোয়া সমূহ বিস্তারিত সকল ইসলামিক বিষয়ে অথবা আপনার শিশুর নামের অর্থ ইসলামিক ব্যাখ্যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।