আপনি কি পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন? কিভাবে বিদ্যুতের মিটার এর সংযোগ অনলাইনে করতে হয় বা অনলাইনে কিভাবে মিটার পাওয়ার আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সার্ভিস এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি কোম্পানি হচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তাদের বেশিরভাগ মানুষ এই সার্ভিসটি গ্রহণ করে থাকে। এখন আগের মত বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরে ঘুরে মিটার নিতে হয় না। কোন কম্পিউটারের দোকান থেকেই আবেদন করে মিটার নিতে পারবেন।
যদি আপনার হাতে একটি স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার ডিভাইস থাকে তাহলে আর্টিকেলটি পরে নিজেই আবেদন করে নিতে পারবেন । আপনি যদি শতভাগ বিদ্যুৎ এর আওতায় এখনো না থাকেন, এখনি অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। ল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার আবেদন করার জন্য www.rebpbs.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নির্ভুলভাবে আবেদন ফরম পূরণ করে ফি প্রদান করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করুন। আবেদন করার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ পেয়ে যাবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার আবেদন করার নিয়ম
পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। প্রথমে আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে আবেদনকারীর ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জমির মালিকানার প্রমান স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজে ক্রপ করে নিন। তারপর www.rebpbs.com ভিজিট করে আবেদন লিংকে ক্লিক করুন এবং সকল তথ্য দিয়ে আবেদনটি সংরক্ষণ করুন। সবশেষে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করে আবেদন সম্পন্ন করুন। আবেদনটি ভালোভাবে সাবমিট সম্পন্ন হলে সাবমিট কপি টি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন. এরপরে খুঁটির দূরত্ব মাপার অনুমতি পেলে আপনার মোবাইল নাম্বারে জামানত ফি ও তারিখ সহ সমস্ত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে অথবা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ট্রেকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে আপনি আপডেট যেকোনো তথ্য চেক করতে পারবেন।
হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন
এই ধাপে আপনার বৈদ্যুতিক বাসায় হাউজ ওয়্যারিং সম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন ধাপের কাজ করতে প্রয়োজন হবে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদ, ট্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর।এর পর ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবার থেকে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন লিংকে ক্লিক করতে হবে। এই লিংকে ক্লিক করলেই আপনার সামনে নিচের ইন্টারফেইজটি ওপেন হবে। ফরমে প্রথমে ট্যাকিং নম্বর ও পরে পিন নম্বর বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ট্যাকিং নম্বর ও পরে পিন নম্বর বসিয়ে সাবমিট করলে আপনার কাছে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিতের তথ্য চাইবে। অর্থাৎ হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে সিলেক্ট করুন এবং গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদ নম্বরটি ইংরেজীতে লিখুন।এর পর গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো/রশিদটি আপলোড করুন। তারপর বাড়ির ঠিকানা লিখে ক্যাপচা কোড পূরণ করে সমর্পন করুন বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত এরকম একটি ম্যাসেজ দেখা যাবে।
নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে
তুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য যে সম্পূর্ণ বিষয়াবলী থাকতে হবেন পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হয়। সেগুলো হলো-
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র।
- আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা।
- একটি সচল মোবাইল নম্বর।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- সংযোগস্থলের ঠিকানা ও জমির খারিজের স্ক্যানকৃত কপি আপলোড।
- নিকটস্থ সার্ভিস পোল থেকে নতুন সংযোগের সঠিক দূরত্বের মাপ।
- সর্বশেষ হাউস ওয়্যারিং সম্পন্ন করার প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রাউন্ড রোডের ক্যাশ মেমো।
- নিজের জমির মালিক না হলে উত্তরাধিকার সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটার আবেদন ফি জমা
পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা যেভাবে প্রেমেন্ট করতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা করছি। বর্তমানে নতুন মিটারের আবেদন ফি হচ্ছে ১১৫ টাকা। যেকোনো ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবার মাধ্যমে এটি প্রদান করতে পারবেন । সংযোগ দেওয়ার সময় অবশ্যই ৪৫০ টাকা দিতে হবে।
পল্লী বিদ্যুতের জন্য আবেদনের শর্তাবলী
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদনের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তাবলী মেনে চলে না এমন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। পল্লী বিদ্যুত সমিতির সমস্ত পূর্বশর্ত হল- আবেদনটি সরকারি পল্লী বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে করতে হবে। সঙযোগ জমির মালিকানার প্রমাণের জন্য আবেদনকারীর ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রত্যাখ্যানের স্ক্যান কপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। সংযোগ থেকে সার্ভিস পোলের দূরত্ব 130 ফুট বা তার কম হওয়া উচিত।
মোট লোড 50 কিলো ওয়াট এর বেশি হলে একটি সংযোগ প্রযোজ্য হবে । অনলাইনে আবেদন করার পর প্রয়োজনীয় ফি যেমন: আবেদন ফি, মেম্বারশিপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত জমাদান তথ্যসহ এসএমএসের মাধ্যমে আপনার মোবাইল নাম্বারে জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদন ফরমে লাল চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনের পরে প্রাপ্ত ট্র্যাকিং নম্বর এবং পিন নম্বর আবেদনে পরবর্তী প্রবেশের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। সরাসরি স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম রকেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে পেমেন্ট করা যাবে
আশা করি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়মটি দেখে আপনি নিজেই আবেদন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আবেদন করার আগে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট রেডি করে নিবেন। আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে …… –
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের দেশের সকলের এই নাগরিক অধিকার রয়েছে এবং এদেশের প্রতি বিশেষ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আর প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রয়োজন হয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ চাকুরী ব্যবসা বা সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রয়োজন হয় আমি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব।