চেক লেখার সঠিক নিয়ম ও চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন

ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সবচেয়ে কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল চেক। আমাদের যাদের ব্যাংক হিসাব রয়েছে, টাকা উত্তোলন বা অন্য কাউকে পাওনা পরিশোধ করার জন্য আমাদেরকে প্রায়শই চেক বই ব্যবহার করতে হয়। আমরা অনেকেই চেক সঠিকভাবে লিখতে পারিনা, বিশেষ করে যারা একটু লেখাপড়া একটু কম জানি তাদের জন্য চেক লেখা যেন এক দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাদের জন্য ব্যাপারটিকে আরেকটু সহজ করে দেবার উদ্দেশ্য নিয়েই আমার আজকের এই লেখাঃ চেক লেখার নিয়ম আর সাথে থাকছে আরও অনেক কিছুই।

চেক কি?

আসুন জেনে নেই চেক আসলে কি, চেক দেখতে কেমন হয়, চেক কিভাবে পেতে পারেন ইত্যাদি নানা ব্যাপার স্যাপার। আমরা নিজের প্রয়োজনে একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন অথবা কাউকে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য চেক ব্যবহার করে থাকি। এটি বিশেষভাবে মুদ্রিত একটি কাগজ বা দলিল যা ব্যাংক তার গ্রাহকের হিসাব নম্বরের বিপরীতে প্রদান করে থাকে। নবম শতাব্দি থেকে চেকের ব্যবহার শুরু হয় এবং আজ পর্যন্ত এর ব্যবহার চলে আসছে জনপ্রিয়তার সাথে যদিও এর সাথে আরও কিছু বিকল্পও চলে এসেছে।

১. তারিখ লিখুন

ব্যাংকের চেকের পাতার মোট ৩ টি অংশ থাকে, ১ম অংশটি মুড়ি, ২য় অংশ মূল চেক এবং শেষ অংশটি হচ্ছে টোকেন। সবগুলো অংশেই শুরুতে তারিখ বসিয়ে নিবেন। মুড়ি এবং মূল চেক দুই জায়গায় শুরুতে তারিখ বসিয়ে নিবেন। ইংরেজি বা বাংলা যেকোন ভাষাতেই আপনি চেক লিখতে পারবেন কোন সমস্যা নেই।

২.  যাকে চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করবেন

আপনি যাকে চেকের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন এই অংশে তার নাম লিখবেন। যদি নিজের প্রয়োজনে টাকা উত্তোলন করেন তবে এখানে নিজ বা Self লিখতে পারেন। পাওনাদার বা অন্য কাউকে টাকা দিতে হলে, তার নাম লিখুন। 

৩. টাকার পরিমাণ লিখুন

চেকের মূল অংশে টাকার পরিমান লিখতে বলা হয়েছে সেখানে টাকার পরিমান অংকে লেখুন। অংকে লিখার পর সামনে পেছনে = চিহ্ন দিয়ে দিন। এতে অন্য কেও আর আগে-পরে কোন নতুন ডিজিট বসাতে পারবেনা। এখানেও কোন কাটাকাটি না করে স্পষ্ট অক্ষরে লিখুন।  যেমন ৮০,০০০/- টাকা । টাকার পরিমান লিখার সময় কমা (,) না দিয়ে, টাকার পরিমান লিখা শেষ করে তার পর কমা দিন। এতে করে সংখ্যার মাঝে জায়গা থাকবে না। তাই নতুন কোন সংখ্যা বসানো যাবে না এবং আপনার চেকের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।

৪. এ/সি হোল্ডারের স্বাক্ষর

নিচের কোনায় দেখুন সিগনেচারের জায়গা রয়েছে থাকে তার উপরে এ/সি হোল্ডারের স্বাক্ষর আপনাকে স্বাক্ষর দিতে হবে। নিচের কোনায় দেখুন সিগনেচারের জায়গা রয়েছে থাকে তার উপরে এ/সি হোল্ডারের স্বাক্ষর আপনাকে স্বাক্ষর দিতে হবে। ব্যাংকে হিসাব খোলার সময় আপনি স্বাক্ষর কার্ডে যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, এখানে সেই স্বাক্ষরটিই দিবেন। মনে রাখবেন তারা আগের দেয়া সিগনেচারের সাথে আপনার চেকের সিগনেচার মিলিয়ে দেখবে। সুতরাং সিগনেচার করার সময় সাবধান হোন।

৫, পেছনের পৃষ্ঠায়  স্বাক্ষর

যে ব্যক্তি  চেকের টাকা উত্তোলন করবেন তাকে চেকের পেছনে উপর-নিচ করে অতিরিক্ত ২ টি স্বাক্ষর দিতে হবে। 

আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে চেক কিভাবে লিখতে হয় এবং নিজের নামে চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি এখনও চেক লেখা নিয়ে আপনি কোন অসুবিধায় পড়ে থাকেন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। আপনি সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে ……

Leave a Comment