স্লিম ধরণের চিকন হওয়া ভালো, কিন্তু একেবারে অতিরিক্ত চিকন হলে কিন্তু বিপদ। অনেকেই আছে যারা মোটা হতে অনেক কিছুই ট্রাই করে থাকেন কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কোন উপকার পাচ্ছেন না। বয়স আর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হওয়া বা আন্ডারওয়েট হওয়া কিন্তু খুবই সমস্যার ব্যাপার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজে অনেককে যেমন বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য কসরত করতে হয়, তেমনি কিভাবে একটু ওজন বাড়বে তা নিয়েও উন্মুখ থাকেন কেউ কেউ। সুষম খাদ্যাভ্যাস মানা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন বাড়ানোর জন্য আবশ্যক। এখানে ওজন বাড়ে কোন খাবারে, ওজন বৃদ্ধির ব্যায়ামগুলো কি এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য কোন বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।
মোটা হওয়ার সহজ উপায়
বিভিন্ন কারণে ওজন কম হতে পারে। আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনতে হবে, ঘুম শারিরিক ব্যায়াম সব কিছু মিলিয়ে ব্যালেন্স রাখতে হবে । এছাড়া বয়সের জন্যও ওজন কমবেশি হয়ে থাকে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এইদিকগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি চলুন জেনে নেই।
ব্যায়াম করুন
অনেকে ভাবেন ওজন কমানোর জন্য মানুষ ব্যায়াম করবে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা দরকার। এই ঝুলে পড়া চামড়া ঠিক করতে ওভারহেড স্ট্রেচেস (Overhead stretches) করতে পারেন। এই ব্যায়ামটি ঝুলে যাওয়া চামড়া ঠিক করে বাহুর নিখুঁত আকার দিতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়বে, হজম প্রক্রিয়া ভালো হবে এবং ঘুম ভালো হবে। ওজন বাড়াতে খুব ভালো ব্যায়াম হচ্ছে স্ট্রেংথ ট্রেনিং। এ ধরনের ব্যায়াম শরীরের মাংসপেশি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে এর জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসে, কোন যন্ত্র বা ব্যায়ামের উপকরণের সাহায্য ছাড়াই, এ ধরনের ব্যায়াম শুরু করা যায়।
পর্যাপ্ত ঘুমান
শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। শরীরকে যথাযথ কাজ করানোর অবস্থায় সুস্থ রাখার জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজন। ওজন বাড়ানোর জন্যও একথা সত্য। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এছাড়া ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
আর প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমাতে যেতে হবে আর খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে, সকালে ইয়োগা বা যোগাসন করার মতো শরীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খেতে পারেন যা বেশ পুষ্টিকর এবং ক্যালোরিযুক্ত। কারণ সেটা ঘুমিয়ে পরছেন বলে খরচ হচ্ছে না এবং পুরো রাত আপনার শরীরে ক্যালোরির কাজ করবে এবং ওজন বৃদ্ধি করবে।
শাকসবজি ও ফলমূল খাবার খান
ধারণত ডায়েট এক্সপার্টরা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এগুলো দিয়ে আশানুরূপ ওজন বাড়ানো যাবে। সকালের নাস্তা সময়ের অভাবে খেতে পারলেন না, দুপুরে খেতে ইচ্ছে করলো না, কিংবা রাতে একেকদিনে একেক সময়ে খাবার খাচ্ছেন, এসব সুস্থ শরীরের জন্য একেবারেই অনুচিত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু এগুলো নিয়মিত
খেতে হবে। এক মাসের মধ্যে শরীর মোটা তাজা হয়ে উঠবে। ফল দিয়ে জ্যাম, জেলি, সিরাপ, জুস বানিয়েও খেতে পারেন। প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প করে কিছু খেতে হবে। কিন্তু যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন তারা ২ ঘন্টা পর পর বেশি করে খেতে হবে।
আপনি দুধ, দই, ফল, ছানা ইত্যাদি দিয়েই পূরণ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি পাবে। এটি মোটা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়। ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন, ফলমূল, ডাল, বাদাম ও শাকসবজি এগুলো খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর সাথে সাথে পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণও বাড়াতে হবে।
এরপরও যেসব খাবার খাওয়ার পরে গ্যাসের সমস্যা বেশি দেখা দেয় বলে মনে হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম। ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর ও আমন্ড খেলে মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খেতে পারেন। খাওয়ার আগে রাতে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।