গুগল একাউন্ট কি? গুগল একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমানে চলমান যুগটি হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ, তাই আমাদেরকেও নূন্যতম একটি জ্ঞান রাখা দরকার তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে। আর সেই জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হলো ইন্টারনেট তথা গুগল। এখন প্রায় সময় গুগলের কিছু সার্ভিস কিংবা ইন্টারনেটে ভিন্ন কারণে গুগল একাউন্ট তথা জিমেইলের প্রয়োজন হতে পারে। গুগল অ্যাকাউন্ট হল আপনার গুগল এর সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবা ব্যবহার করার চাবিকাঠি, যার মধ্যে অনেকগুলি বিনামূল্যে৷ একটি গুগল অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করা একটি দ্রুত প্রক্রিয়া, তবে আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে৷ 

গুগল একাউন্ট কি

গুগোল একাউন্ট হলো এমন একটি আইডি বা ঠিকানা যাকে ব্যাবহার করে আমরা বিশ্বের সব থেকে বড় এই কোম্পানির সমস্ত সার্ভিস বা পরিষেবা কে ব্যাবহার করতে পারবো। একটি গুগোল একাউন্ট সাধারণত আমাদের কাছে জিমেইল নামে বেশি পরিচিত।

গুগল একাউন্ট খুলতে কি কি দরকার

গুগল একাউন্ট খোলার সময় বিভিন্ন ব্যাক্তিগত তথ্য, যেমনঃ নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, ইত্যাদি প্রদানের প্রয়োজন হয়।ভেরিফিকেশনের উদ্দেশ্যে গুগল একাউন্ট খোলার সময় মোবাইল নাম্বারও চাওয়া হয়, যা একাউন্টের সাথে যুক্ত করা যায় রিকভারি মোবাইল নাম্বার হিসেবে। গুগল একাউন্ট খুলতে হলে বয়স অবশ্যই ১৩বছর বা তার বেশি হতে হবে।

গুগল একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম

আপনার মোবাইলে জিমেইল কিংবা গুগল একাউন্টের সাথে সাইন ইন না থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে। আপনি ডাউনলোড করতে পারছেন না কোনো মোবাইল অ্যাপস এবং কি আপনার মোবাইল সেটটি আপডেটও দিতে পারছেন না। কি একটা বিরক্তকর অবস্থা, তাই না? আপনি কিন্তু ইচ্ছা করলেই কয়েক মিনিটের ভিতর এই বিরক্তকর সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন মোবাইলের প্লে স্টোর দ্ধারেই। কিভাবে? নুতন গুগল একাউন্ট খোলার মাধ্যমে। কিভাবে নুতন ‍গুগল একাউন্ট খোলা যায়, সে নিয়ম সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইলটি ওপেন করে মোবাইলের প্লে-স্টোর অ্যাপসটিতে ডুকে যেতে হবে। Create an Account এ ক্লিক করার পর এবার আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেজ চলে আসবে। সেখানে আপনাকে গুগল একাউন্ট তৈরি করা নিয়ে দু’টি অপশান দিবে। আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি নতুন গুগল একাউন্টটি কিসের জন্য খোলতে চান? এবং সেখানে দুটি অপশান থাকবে। সেগুলো হলো- “For Myself” এবং অন্যটি হলো “To Manage my business” এই দু’টি অপশান থেকে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি অপশান টেক করতে হবে। যেহেতু আপনার জিমেইলটি আপনি মূলত আপনার নিজেই টুক-টাক কাজের জন্যই নিয়েছেনে,, সেহেুত আপনি এখানে অবশ্যই For Myself নামে অপশানে ক্লিক করবেন।  

 

আপনি যে নামে নতুন গুগল একাউন্টটি খোলতে চান, সেটি চিন্তা করুণ এবং অবশ্যই সে নামের দুটি ওয়ার্ড থাকতে হবে। First Name এর জায়গায়, আপনার নতুন জিমেইলের প্রথম ওয়ার্ডটুকু রাখুন অথবা লিখুন এবং Last Name এর খালি ঘরে জিমেইলের শেষের পার্ট তথা ওয়ার্ডটুকু লিখুন।

আপনি Next অপশানটিতে ক্লিক করবেন, ঠিক তখনই আপনার বেসিক সকল ধরনের তথ্য ইনপুট দেওয়ার জন্য নুতন আরেকটি পেজ ওপেন হবে। এখানে আপনাকে Basic information দিতে হবে। ব্যাসিক তথ্য বলতে জন্ম সাল, দিন ও তারিখ এবং লিঙ্গ সম্পর্কিত তথ্যগুলো। আপনি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, Birth of Month, Date, Year খুব সুন্দর করে দেওয়া রয়েছে। আপনাকে উক্ত খালি ঘরগুলো পূর্ণ করতে হবে অর্থার্ৎ প্রথমে আপনার জন্ম মাসটি সিলেক্ট করুণ তারপর জন্ম তারিখ এবং সর্বশেষ জন্ম সাল। যখনই এগুলো সিলেক্ট করা শেষে হবে, তখনই আপনি নিম্নে দেখুন আরো কতগুলো তথ্য গুগল আপনার নিকট হতে চাচ্ছে। যেমন আপনার জেন্ডার বা লিঙ্গ। আপনার Gender টাতে আপনি যদি ছেলে হোন, তাহলে male দিয়ে দিন এবং যদি মেয়ে হোন, তাহলে Female দিয়ে দিন। এখানে অবশ্যই একটি ড্রপ মেন্যু থাকবে, আপনি সেখানে ক্লিক করে সেটা জাস্টি সিলেক্ট করে দিন। Basic Information দেওয়ার পর আপনি দেখুন নিম্নে Next লিখা রয়েছে। সেখানে ক্লিক করুণ এবং পরের পাতায় চলে যান।

আপনাকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। এখানে দেখুন How you’ll sign in নামে ফেজটিতে আপনার নিকট হতে বেশ কয়েকটি তথ্য চাচ্ছে। এখানে আপনাকে Username নামে একটি অপশান পূর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে নামে জিমেইলটি করতে চান, সেখানে হুবহু সে নামটি ছোট বর্ণে লিখতে হবে। অবশ্যই ইংরেজিতে। ধরুন আমরা চাচ্ছি bangateach@ নামে একটি নতুন গুগল একাউন্ট কিংবা ইমেইল খোলতে, তাই ইউজার নামে আপনাকে অবশ্যই উল্লেখিত নিয়মে পূরণ করতে হবে। উক্ত নাম লেখার সময় কোনো রকম স্পেস, বড় হাতের বর্ণ ব্যবহার করা যাবে না। খালি ঘরটি পূর্ণ করার পর এবার আপনি দেখুন নিম্নে Next নামে আরেকটি অপশান আছে। সেখানে ক্লিক করুণ।

আপনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করবেন। অর্থাৎ আপনার চলমান তৈরি হওয়া নতুন গুগল একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিবেন। এমন একটি পাসওয়ার্ড দিবেন, যেটাতে ছোট-বড় উভয় ধরনের লেটার সহ সংখ্যা থাকে, সেই সাথে কিছু সাইন দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার গুগল একাউন্টের পাসওয়ার্ডটি বেশ শক্তিশালী হবে। পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আপনি পুনরায় নেক্সট নামে অপশনটিতে ক্লিক করুণ। আপনার সামনে Confirm you’re not a robot নামে একটি নুতন ফেজ সামনে এসেছে। সেখানে আপনাকে আপনার কান্ট্রি বা দেশ সিলেক্ট করতে বলছে। আপনি সিম্পলি আপনার দেশের পতাকাটি সিলেক্ট করে দিন। এরপর দেখুন, পাশেই একটি খালি ঘর রয়েছে, যেখানে আপনার সিলেক্টকৃত দেশের মোবাইল নাম্বার চাচ্ছে। 

আপনি আপনার ১১ ডিজিটের কিংবা সংখ্যার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে দিন। নাম্বারটি ইনপুট দেওয়ারপর আপনি next ক্লিক করুণ। তখনেই আপনার সেই ইনপুট দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড গুগল সেন্ড করবে। আপনাকে সেই কোডটি পিক করে নতুন ফেজের খালি ঘরটিতে দিতে হবে। দেওয়ার পর আবার আপনাকে Next অপশানটিতে ক্লিক করতে হবে।   Privacy and Terms নামে নতুন আরেকটি ফেজ ওপেন হয়েছে। সেখানে আপনি গুগল একাউন্টের প্রাইভেসিগুলো পড়তে পারেন এবং সর্বনিম্নে চলে আসুন। সেখানে দেখুন I agree নামে আরেকটি অপশান রয়েছে। সেখানে আপনি ক্লিক করে দিন।

ব্যাস, আপনার নুতন গুগল একাউন্ট খোলার কাজ প্রায় শেষ। এখন আপনার একটি নুতন জিমেইল কিংবা গুগল একাউন্ট রয়েছে এবং তা এখন হতে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন রকম ইন্টারনেটের কাজে।

কোনো প্রশ্ন, মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট করতে পারেন। মনে রাখবেন, আমরা সকল কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ হাফেজ।  আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে …

Leave a Comment