উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা কম বেশি সচেতন হলেও লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে ততটা না। নিম্নরক্তচাপের সমস্যায় হলেও অনেকে বুঝতে পারেন না কি রোগে ভুগছেন। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। লো প্রেশারের ফলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাই।
কিন্তু ব্লাড প্রেসারের রিডিং ৯০/৬০ এর কম হলে সেটি হাইপোটেনশন হিসেবে ধরা হয়। যেমন ডিহাইয়েড্রেশন, রক্তস্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড, ইত্যাদি। অনেক সময় প্রেসার বাড়ার ও কমার লক্ষণগুলো একই রকম হয়ে থাকে। ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখানে লো প্রেসার হাই করার উপায় দেওয়া হলো-
লবণ; আমরা জানি, লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। কারণ এতে সোডিয়াম আছে। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। এছাড়াও এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক-দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ বাড়বে। প্রতিদিন প্রয়োজনের চেয়ে কম লবণ খেলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। আবার বেশি লবণ খাওয়াও উচিত নয়। তবে অনেকেই পানিতে শুধু লবণ গুলে খান; যা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করাই ভালো। প্রয়োজনে প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ বাড়ান।
পানি; পানি কম পান করার কারণে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। এটি রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে যার ফলে রক্তচাপ কমে আসে। লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। গবেষণা অনুসারে, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় রক্তচাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। লবণপানির থেকেও স্যালাইন ভালো কাজ করে। ব্যায়াম করার সময় নিজেকে হাইড্রেড রাখা আবশ্যক। প্রচুর পানি পান করবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর শরবত, ডাবের পানি পান করবেন। প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। এক গ্লাস জলে আধ চামচ নুন মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ২ গ্লাস নুন পানি খান। দেখবেন রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিটের রস; বিটের রস হাই প্রেসার ও লো প্রেসার উভয়ের জন্যই সমান উপকারী। বিটে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই বিটের জুস রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। বিটের রস রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হাইপোটেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ বিটের রস খেলে উপকার পাবেন। অনেকে মনে করেন, টক ফল খেলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস গাজরের রস খেয়ে দেখুন।
তুলসীপাতা; যাদের ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য উত্তম পথ্য হলো- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫ থেকে ৭টি তুলসীপাতা চিবানো। তুলসি পাতায় উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া তুলসীপাতা ইউজিনোল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। এমনকি তুলসীপাতা বর্তমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
কফি; ক্যাফেইন সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাডপ্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার রক্তচাপ হঠাৎ কমে আসে এবং মাথা ঝিমঝিম করে তাহলে এককাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যা দূর করতে ফলের রস, স্যুপ, মিষ্টি পানীয়, কফি খেতে পারেন। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন। ১ থেকে ২ কাপ ব্ল্যাক কফি খান প্রতিদিন। চা-কফি অনেক সময়ে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে।
বাদাম; প্রেশার কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ৫ থেকে ৬টি কাঠবাদাম খেয়ে নিন। যে সমস্ত মানুষের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাঁদের সকলেরই বাদাম খাওয়া উচিত। লো প্রেসার হলে ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম এবার এক গ্লাস দুধে বাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। গরম গরম পান করুন। রাতে শোয়ার আগে ৫-৬ টি আমন্ড দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা সেগুলির খোসা ছাড়িয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন এবং গরম করে খেয়ে নিন। বাদাম প্রেসার বাড়াতে সহায়তা করে।
ডিম: আপনার পেশার যদি লো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডিম খান ডিমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধিতে ডিম দারুণ একটি কাজ করে থাকে তাই আপনার যদি লো প্রেসার হয়ে থাকে একটি হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিম সিদ্ধ করে খেয়ে ফেলুন তাহলে দেখবেন আপনার পেশার হাই হয়ে গেছে তবে আপনার পেশাব যদি হয়ে থাকে অবশ্যই দিন খাবেন না সে ক্ষেত্রে আপনার আরো বেশি সমস্যা সমর্থন হতে হবে আর যদি প্রেসার অতিরিক্ত না হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যান এবং তারপর আমাকে অনুযায়ী ওষুধ খান এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে লো প্রেসার হাই করার উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।