বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রবল ইচ্ছে কাজ করে, যেনো তারা পড়াশোনার পাশাপাশি আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করা শিখতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করে অনলাইন ইনকাম করার জন্য আউটসোর্সিং শিখা প্রয়োজন। আউটসোর্সিং শব্দটি আমাদের দেশে যে খুব বেশি পরিচিত তা নয়, তবে অসাধু ব্যাবসায়ী আর চটকদার বিজ্ঞাপনের কল্যাণে শব্দটি এখন মানুষের মনে নানা কৌতুহলের জন্ম দিচ্ছে, এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশীদের কাছে অতি পরিচিত শব্দ হিসাবে সমাদৃত হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং এবং অনলাইন ইনকাম কে একই কাতারে ফেলে দেন। যদিওবা আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম দুটি উপায়। একটি অনলাইনে বিনা মূল্যে, অপরটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে কোর্স করে। এর পাশাপাশি অনলাইনেও অর্থের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্স প্রশিক্ষণের সুযোগ মিলে থাকে।
আউটসোর্সিং কি?
আউটসোর্সিং নিয়ে আমাদের দেশে অনেক মানুষের মনে কৌতুহল রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করে অনলাইন ইনকাম করার জন্য আউটসোর্সিং শিখা প্রয়োজন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে অনলাইনে থাকা মুক্ত প্রেসার গুলোর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কে কাজে লাগিয়ে যখন আপনি কোন প্রজেক্ট এর কাজ করিয়ে নেবেন তাকে বলা হয়ে থাকে আউটসোর্সিং। ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে, সেই কাজগুলো আসলে কোথা থেকে আসে। তো এই কাজগুলো মূলত বিভিন্ন লোকাল অথবা গভমেন্ট কোম্পানি থেকে কোনো ব্যক্তির দ্বাড়া প্রোভাইড করা হয়ে থাকে। আর যেসব ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সারদের এই ধরনের কাজ দেয় অনলাইনের মাধ্যমে আপনার কাজটিকে আপনার ক্লাইন্টের কাছে ডেলিভারি দিবেন এবং ক্লাইন্ট আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করবে। এই কাজ দেয়ার প্রক্রিয়া টা কে সহজ ভাষায় বলা হয়ে থাকে আউটসোর্সিং।
আউটসোর্সিং শেখার উপায়
বিশ্বে আউটসোর্সিং করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু সকল সাইট আপনার জন্য সুবিধা নাও হতে পাবে। কারণ অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে কাজের সংখা সিমীত এবং সেই কাজ করার জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার দরকার। আমার কথা হল, এত সহজে যদি অনলাইনে কাড়ি কাড়ি ডলার/টাকা কামানো যেত তাহলে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ স্রেফ টাকা উপার্যনের জন্য দিন রাত খাটা খাটুনি বন্ধ করে একখানা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে যার যার ঘরে বসে যেত, আর ডলার আয় করত। যার সাহায্য নিয়ে আপনি নিজে অনলাইনে সার্চ দিয়ে বা প্রশিক্ষকেরসাহায্য নিয়ে গড়ে তুলতে পারেন আপনার আউটসোসিং ক্যারিয়ার। তবে আপনাকে একই সাথে ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। এবারের আলোচনায় আমি সেরা কিছু আউটসোর্সিং শেখার মাধ্যম গুলো নিয়ে একেবারে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।
ওয়েবসাইট এ ব্লগের মাধ্যমে আউটসোর্সিং
যেখানে আপনি বিভিন্ন ব্লগ থেকে আউটসোর্সিং রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক ধরনের বাংলা এবং ইংলিশ ব্লগ পাবেন যেখানে প্রতিনিয়ত আউটসোর্সিং নিয়ে লেখালেখি করা হয়। এখন শুধুমাত্র মোবাইল ফোন দিয়েই একটা ব্লগার ওয়েবসাইট বানিয়ে তারপর লিখালিখি করে টাকা ইনকাম করা যায়৷ এর জন্যে বিশেষ কোন যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়না৷ বিভিন্ন কোম্পানি গুলো আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে তাদের কাজে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটে হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। এই সব ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনারা বিভিন্ন দেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে বের করতে পারবেন। আপনি যদি গুগল থেকে এইসব ব্লগের আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়েন। তাহলে আমার বিশ্বাস আপনার মধ্যে আউটসোর্সিং রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে যাবে। গুগল থেকে এমন সব ব্লগ গুলোকে খুজে নিতে হবে যেখানে মূলত আউটসোর্সিং রিলেটেড মূল্যবান তথ্য শেয়ার করা হয়ে থাকে।
ইউটিউব মাধ্যমে আউটসোর্সিং
বর্তমান সময়ে ইউটিউব হলো কোন কিছু শিখার জন্য উপযুক্ত একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে যে কোন বিষয়ে ধারনা নিতে পারবেন একদম বিনামূল্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা আনতে চাইলে ইউটিউব এর মতো এতো সহজ বিকল্প আর খুজে পাবেন না৷ কারন বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে যদি আউটসোর্সিং করার সহজ কোন উপায় থাকে তাহলে তা হলো ভালো ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম। আপনি এই কাজটি ইউটিউব এর মাধ্যমে শিখতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে ইউটিউব প্লাটফর্মে যেতে হবে। এবং সেখানে এমন চ্যানেল গুলো কে খুজে নিতে হবে যেখানে মূলত আউটসোর্সিং ডিলিটেড রেগুলার ভিডিও আপলোড করা হয় । আপনি যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ করুন যে, ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা হয়। তাহলে প্রমাণ সহ বিস্তারিত পেয়ে যাবেন। সেই চ্যানেল গুলোতে নিয়মিত ভিডিও দেখে আপনি আউটসোর্সিং রিলেটেড ধারণা নিতে পারবেন এবং এই বিষয়ে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। আর ডিজিটাল যুগের মানুষ গুলো ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন ঘরে বসেই পণ্য ক্রয় করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে হওয়া সকল প্রকার মার্কেটিং। যেমন ধরুন আপনি ফেসবুকে একটি একাউন্টে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, অথবা সেটা হতে পারে ব্লগ, ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ও আয় করার জন্য যে সমস্ত কাজ করা হয় সেটাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকার জবের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং জব এর চাহিদা ব্যাপক । ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা দিন যতই যাচ্ছে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে । আপনি অনলাইনে ব্যবসা, ফ্রীলান্সিং এবং যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা তা অবশ্যই লাগবে ।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা সমূহ
আপনি ফ্রীলান্সিং রিলেটেড কোন কাজ করতে যান তাহলে সবার আগে আপনাকে কোন না কোন কাজে দক্ষ হতে হবে এবং সেই কাজের দক্ষতা সার্ভিস প্রদান করে টাকা আয় করতে হবে। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্স কাজ করা ব্যক্তিদের নিয়ে অনলাইনে অনেকগুলো কমিউনিটি গ্রুপ রয়েছে, যারা ফ্রিল্যান্সবিষয়ক বিভিন্ন কনটেন্ট, সমস্যা সমাধানের উপায় নি য়ে আলোচনার পাশাপাশি অনলাইনে লাইভ প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে। আউটসোর্সিং করেন তাহলে আপনি সবচেয়ে বেশি যে সুবিধাটি উপভোগ করবেন সেটি হলো আপনার কোন প্রকার অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না। দেখুন যখন আপনি কোন কোম্পানির আন্ডারে আউটসোর্সার হিসেবে কাজ করবেন। আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় আপনি নিজে। কারণ, বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। ৯৯% লোক তাদের লক্ষে পৌছতে পারে না, কারণ তারা যাত্রা শুরুই করে না। ধরেন, আপনি পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে চান।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আউটসোর্সিং শেখার উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে …

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কমবেশি সবাই টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু জানার ইচ্ছা বা কিছু সমস্যা সমাধান খুঁজে থাকেন তাই আমি আপনাদের টেকনোলজি সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান আপনাদের সামনে উপস্থাপন করিব।