আমাদের সবার জানা কিডনি ও লিভার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির পাথর এমনকি লিভার পরিষ্কার রাখবে এ পানীয়। শারীরিক বিভিন্ন উপকারিতার পাশাপাশি ওজনও কমবে খুব দ্রুত। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি কিডনীর জন্য অপরিহার্য। ডাক্তারও প্রতিটি রোগীকে শাকসবজির প্রতি জোর দিতে বলেন। সুস্থ থাকতে এগুলোর খেয়াল আমাদেরকে রাখতেই হবে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিভার এবং কিডনি খারাপ হওয়ার কারণ হয়ে থাকে কিছু বদ অভ্যাসে। আজকাল মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায় বেথো শাক। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নিয়মিত বেথো শাক খাওয়া শুরু করলে মেলে আরও অনেক উপকারিতা। তাই এই গুলোকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় তা জানা আমাদের সকলের জন্য অনেক জুরুরী । নিচে কিডনি ও লিভার ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
কিডনি সুস্থ রাখার জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করার বিকল্প নেই। কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খান। পানি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পানি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় যা কিডনির জন্য উপকারি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি ভালো রাখা সম্ভব। এছাড়া খাদ্যের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণটাকেও পানির সঙ্গে প্রসাবের থলিতে পাঠিয়ে দেবে এবং রক্তে লবণের প্রয়োজনীয় মাত্রা ঠিক রাখবে ।
লো ফ্যাট ফুড
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত মদ্যপান, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত্ ঠিকই, তবে লো ফ্যাট ফুড হইতে সাবধান। বেলে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন, থিয়েমিন এবং রাইবোফ্লবিন লিভারের দেখভালে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ধরে রাখতে যোগ করা হয় প্রচুর পরিমাণ চিনি। এতে লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
খাবারে শাকসবজি যুক্ত করুন
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে স্নেহজাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খাই আমরা। কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই দরকার। রোজকার তেল মশলা যুক্ত খাবার কিডনি-সহ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তবে স্বাদে খুব একটা আকর্ষণীয় না হলেও, ঝিঙা পুষ্টিগুণ ভরপুর। লেবু ও শসার এ পানীয় পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা নিয়মিত গ্রহণ করতে সংক্রমণজাতীয় বিভিন্ন রোগে থেকে নিস্তার মেলে। তারা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বেলের সরবতের অন্তর্ভুক্তি ঘটান, তাহলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যে কমে, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই।
ওষুধ থেকে সাবধান
আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতন ব্যথার ওষুধগুলি বেশি মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। বেশি কিছু ওষুধ লিভার এর ক্ষতি করে। এই সকল ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। এ সব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। কিছু পেনকিলার, যেমন টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। এই ওষুধগুলি এড়ানোর চেষ্টা করুন বা ডোজ কমান।
চা এবং কফি
চা ও কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে এই কথাটি কতবার শুনেছেন? কফি খাওয়া কিন্তু শরীরের জন্য অনেক সুফল আছে। নিয়মিত কফি খেলে লিভারের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে। আমরা কোমল পানীয়, কফি, চাসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাফেইন তাৎক্ষণিকভাবে শারীরে ক্লান্তিভাব দূর করে।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান একটি ভয়াবহ বদঅভ্যাস।ধূমপানের ফলে ফুসফুস ও ব্লাড ভ্যাসেলকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুসের যেমন ক্ষতি করে তেমনি কিডনিকেও করে খারাপ। মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের জন্য না অন্যের জন্য ক্ষতিকর।তাই ধূমপান ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের জন্য না অন্যের জন্য ক্ষতিকর।তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ওজন বজায় রাখুন
একজন অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল ব্যক্তি কিডনির ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিতে থাকে। ডায়াবেটিক জটিলতা, হৃদরোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সবই সম্ভব। কম সোডিয়াম, পটাসিয়াম ফসফরাসযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কিডনি ক্ষতিকারক অন্যান্য খাবার এড়িয়ে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি কমানো সম্ভব। সপ্তাহে, ফুলকপি, ব্লুবেরি, মাছ এবং পুরো শস্যের মতো তাজা, প্রাকৃতিকভাবে কম সোডিয়াম উপাদানগুলি গ্রহণ করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ফলস্বরূপ, এটি রক্তচাপ কমায় এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে, যা কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য ম্যারাথন দৌড়ের প্রয়োজন নেই। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো এবং এমনকি নাচ করা একেবারেই ভালো। আপনি উপভোগ করেন এমন একটি কার্যকলাপ চয়ন করুন এবং আপনাকে ব্যস্ত রাখবে। এটি আপনাকে এটির সাথে লেগে থাকতে এবং দুর্দান্ত ফলাফল অর্জন করতে এবং কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।