অজুকে বলা হয় নামাজের চাবি। নানা কারণে ভাঙতে পারে অজু ‘যদি কেউ পবিত্র অবস্থায় থাকে তাহলে পোশাক পরিবর্তন করা অজু ভঙ্গের কারণ নয় যতক্ষণ না অজু ভঙ্গের কোনো কারণ ঘটে। এ ক্ষেত্রে নর-নারীর বিধান সমান। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
অজু ভঙ্গের কারণ সমূহ নিচে আলোচনা করা হল
- পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা পোকা ইত্যাদি। আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয় রাসুল (সা.) বলেছেন শরীর থেকে যা কিছু বের হয়, তার কারণে অজু ভেঙে যায়। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি- হাদিস : ৫৬৮)
- রক্ত, পুঁজ, অথবা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। শরীর থেকে বা শরীরের ক্ষতস্থান হতে পুঁজ, অথবা পানি বাহির হয়ে গড়িয়ে পড়লে ওযু ভেঙে যাবে, যদি অল্প পরিমাণে রক্ত, পুঁজ, অথবা পানি বের হলে ওযু ভঙ্গ হবে না, যদি বেশি পরিমানে রক্ত, পুঁজ, অথবা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ পরিমাণটা বেশি হয় তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.)-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক- হাদিস : ১১০)
- মুখ ভরে বমি করা যদি কোন কারণে মুখ ভরে বেশি পরিমাণে বমি হয় তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে, আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল (সা.) বলেন যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নেবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ- হাদিস : ১২২১)
- থুতুর সঙ্গে যদি রক্ত বের হয় সে রক্তের পরিমাণ যদি থুতুর সমান হয় অথবা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে । হাসান বসরি (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার ওপর অজু করা আবশ্যক হয় চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া না। [মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা- হাদিস নং-১৩৩০]
- যদি কেউ কোথাও ওয়ালে বা কোথাও হেলান দিয়ে অথবা চিৎ কাত হয়ে চেয়ারে হোক আর দেওয়ালে হোক যদি সে কথাও হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে যায় তাহলে তার ওযু ভেঙ্গে যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা চিৎ বা কাৎ হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায় (মুসনাদে আহমাদ- হাদিস : ২৩১৫;
- পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারনে তার সাধারণ জ্ঞান শক্তি হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ পাগল হয়ে যায় অথবা অধিক পরিমাণে নেশা করার কারণে সে মাতাল হয়ে যায় অথবা আঘাত পাওয়ার কারণে সে অচেতন হয়ে যায় তাহলে তার অজু ভেঙ্গে যাবে । হাম্মাদ (রহ.) বলেন, যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্ হয়, তখন নামাজের জন্য তার অজু করতে হবে। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক- হাদিস : ৪৯৩)
- নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে নামাজরত অবস্থায় কেউ যদি শব্দ করে হাসে অর্থাৎ উচ্চস্বরে হাসি দেয় তাহলে তো ওযু ভেঙ্গে যাবে। ইমরান বিন হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেন যে ব্যক্তি নামাজে উচ্চস্বরে হাসে সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে। হাসান বিন কুতাইবা (রহ.) বলেন যখন কোনো ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসি দেয়, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে। (সুনানে দারা কুতনি- হাদিস : ৬১২)
আশা করি ওযু ভঙ্গের কারণসমূহ আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন উপরোক্ত যে সাতটি কারণসমূহ রয়েছে সে কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না, পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আরো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।আপনি বেতের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা ইসলামিক স্কলারের মতামত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চান বা হাদিস সংক্রান্ত অথবা নামাজের ওয়াক্ত নিয়ত অথবা দোয়া সমূহ বিস্তারিত সকল ইসলামিক বিষয়ে অথবা আপনার শিশুর নামের অর্থ ইসলামিক ব্যাখ্যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।