এলোভেরা যে আপনার ত্বকে খুবই উপকার করে এলোভেরা ত্বক সজীব রাখা, চুল পড়া রোধ করা, চুল ঘন ও লম্বা করা এসব এর জন্য যেসব কসমেটিক্স আছে তার একটি সাধারণ উপাদান হল অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা মূলত একটি গাছ যার পাতাগুলো মোটা। এই পাতার ভেতর থাকে অ্যালোভেরা জেল। এটি খাওয়া যেমন শরীরের জন্য উপকারী, তেমনি ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জেল বা জেল দিয়ে তৈরি মাস্ক ভীষণ উপকারী। এই গরমে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ঠান্ডা থাকবে ত্বক। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ ও অন্যান্য কালচে দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই।
ত্বকের যত্নে এলোভেরা
অ্যালোভেরা ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তারা কেমিকেল ব্যবহার না করে `নাইট ক্রিম` হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করতে বাড়িতেই লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরাতে আছে হিলিং ও হাইড্রেটিং প্রপার্টি যা শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই দরকারি। অ্যালোভেরার ভেতরের জেল বের করে সরাসরি ত্বকে লাগান। ত্বকের বয়স রুখে দিতে ও ত্বকে বলিরেখা মলিন করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার অনেক গুণ আছে।
রোদে পোড়া দাগ দূর
অ্যালোভেরায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ, বি, সি ও এ উপাদান ত্বকের পুষ্টি যোগায়। রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের উপর মৃতকোষ দূর করতে অ্যালোভেরা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রণ বা অ্যাকনে হলে
এক চা চামচ অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে ওটমিল গুঁড়ো ও হাফ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর ফেসপ্যাক তৈরি করুন।৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ দিন করলে উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেল আইস কিউব ট্রেতে অ্যালোভেরা আইস কিউব দিয়ে ত্বকের উপর ঘষতে পারেন। এতে ত্বক নরম ও ঠান্ডা থাকে। এছাড়া ব্রণ বা অ্যাকনে হলে তার উপর আলতো করে ঘষলে ব্রণ ও অ্যাকনের সমস্যা দূর হবে।
ত্বকের ক্ষত
অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে আর নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে অ্যালোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে। গোলাপ জলে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস যা আপনার ত্বককে ভালো রাখে। ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এছাড়া আপনার ত্বকে পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
ঠোঁট উজ্জ্বল রাখতে
ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। থমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না।
ত্বকের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল
অ্যালোভেরার একটি পাতা নিয়ে মাঝ বরাবর চিড়ে নিতে হবে। হলুদ কষ বের হওয়ার পর কষটা ফেলে দিয়ে তারপর সারামুখে অ্যালোভেরা ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। এভাবে তিন মাস একটানা করতে হবে। অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..

সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আপনারা যারা বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো এবং বড় বড় ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সকল ডাক্তারের পরামর্শ ও মতামত এবং সময় চিকিৎসা বিষয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে আমি উপস্থাপন করব।