যে সকল জমিগুলো কোন সংস্থার মালিকানায় থাকে না অর্থাৎ সরকারের কালেক্টরের মালিকানায় থাকে বা হয়ে যায় সেগুলিকে খাস জমি বলা হয়ে থাকে।কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার,এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি বলে।
জেলা প্রশাসক বা ডিসি যখন জমি জমার বিষয়ে কাজ করেন তখন তাকে কালেক্টর বলে। অন্যন্য সংস্থার জমি সরকারের মালিকানায় থাকলে তাকে খাস জমি বলা হয় না। কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার,এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি বলে।
খাস জমি কাকে বলে
যেকোনো রাষ্ট্রের সরকারের মালিকানাধীন জমি গুলোই হলো খাস জমি। সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রিত এই জমি গুলো কৃষি, উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ প্রকল্প ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন,অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন উপরোক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি হিসাবে বুঝাবে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনেক ভূমি রয়েছে সেগুলি কখনো খাস জমি নয়। সেই জমিগুলো অবশ্যই সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন রয়েছে এবং তারাই সেই জমিগুলো বা ভূমিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। তবে খাস জমি শুধুমাত্র সরকার ব্যবহার করতে পারবে, বিষয়টা কিন্তুু এমন নয়। বরং এই ধরনের খাস জমিতে ভূমিহীন মানুষদের বন্দোবস্তো পাবারও অধিকার রাখেন।
খাস জমি চেনার উপায়
নীয় ভূমি অফিস থেকে জমির দাগ নম্বর ও খতিয়ান যাচাই করে খাস জমি চেনা যায়। তাছাড়া, কোন জমির ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকলেই বোঝা যায় সেটি খাস জমি। আমরা দেখি যে যে জমিগুলো যে সংস্থার নামে থাকে ওই জমিগুলোর মালিক ওই সংস্থায়ী হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আমরা এই ধরনের অনেক জমিজমা দেখেছি যেগুলো সরকারি জমি হওয়া সত্ত্বেও আলাদা আলাদা মালিকানাধীন রয়েছে। বচেয়ে বেশি খাসজমি ভূমিহনিদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতি মালা কিছুটা সংশোধন করে ১৯৯৭ সালে খাসজমিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
খাস জমির জন্য কোনো ধরনের ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার দরকার হয়না। জমিটি কি কাজে ব্যবহৃত হবে বা কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে তা দেখেও বুঝা যায় যে এটি খাস জমি নাকি। এই ধরনের জমি গুলোকে সরকার যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে। খাস জমির কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না এবং সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। যদি কোনো জমির সুস্পষ্ট ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকে এবং সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে তবে তা খাস জমি নির্দেশ করে।
খাসজমি কিভাবে বন্দোবস্ত নিবেন
আমরা সাধারণ ভাষায় ভূমি বলতে আবাদি কিংবা অনাবাদি জমিকেই বুঝি। কিন্তু ভূমি বা জমি কথাটির অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক । আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী, যে সকল মানুষ একবারেই ভূমিহীন। সেই সকল মানুষও খাস জমির বন্দোবস্ত পাওয়ার অধিকার রাখেন। সেই জমিগুলো যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার সেই ভূমি গুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারবেন। জমির সাথে সংযুক্ত কোন বস্তুর সাথে স্থায়ীভাবে আবদ্ধ রয়েছে এমন বস্তু বা বস্তুসমূহকে ভূমির অর্ন্তভূক্ত বা ভূমি বলে গণ্য।
১৯৫০ সালের আইন অনুযায়ী পরবর্তিকালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে খাসজমি অর্জন হয়। এছাড়াও পয়োস্তি জমি, অধিগ্রহণ উদ্বৃত্ত জমি, মালিকানা বিহীন জমি ও পরবর্তি সময়ের সিলিং উদ্বৃত্ত জমি খাসজমি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রতিটি মৌজার ১নং খতিয়ানে খাসজমির বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়।
কৃষিযোগ্য খাসজমি
সাধারণভাবে সকল আবাদি ও অনাবাদি ভূমি এবং নদনদী, খাল-বিল, নালা-ডোবা, পুকুর, বাড়ীঘর, দালান কোঠাসহ যা ভূমির সাথে স্থায়ীভাবে যুক্ত রয়েছে, তাকেই ভূমি বলে গণ্য হবে। এলাকায় অবস্থিত সকল প্রকার কৃষিযোগ্য খাসজমিই কৃষি খাসজমি হিসাবে বিবেচিত। কৃষি খাসজমি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যথা বন বা পূর্ত কিংবা সড়ক ও জনপথ এর স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমিকে সরকারের খাস জমি হিসাবে গন্য করা যাবে না। নিলামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে খাস জমি বন্দোবস্ত বা ইজারা নেয়া যায়।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে খাস জমি চেনার উপায় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই পৌষ্টের মাধ্যমে…..
সুপ্রিয় দর্শক আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের দেশের সকলের এই নাগরিক অধিকার রয়েছে এবং এদেশের প্রতি বিশেষ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আর প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রয়োজন হয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ চাকুরী ব্যবসা বা সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রয়োজন হয় আমি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করব।